
সময়ের সীমানা : এপিসোড ৪ মুক্তির মঞ্চে দাঁড়ানো
গল্পের নাম : সময়ের সীমানা।
এপিসোড ৪ : মুক্তির মঞ্চে দাঁড়ানো।
ধরন : বাংলা সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার ।
পূর্ববর্তী পর্বের সংক্ষিপ্ত কাহিনী (এপিসোড ৩)
তৃতীয় পর্বে দেখা যায়, বিজ্ঞানী ফারহান অজানা এক গ্রামে বন্দী হয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা তাকে শত্রু বা গুপ্তচর ভেবে সন্দেহ করে। তরুণী শিউলি তার পক্ষ নেয় এবং ধীরে ধীরে ফারহানের ভবিষ্যৎ থেকে আগমনের সত্যতা বিশ্বাস করে। ফারহান একটি পুরনো রেডিও মেরামত করে প্রমাণ দেয় যে সে সময়-ভ্রমণকারী। শিউলি তাকে পালাতে সাহায্য করার পরিকল্পনা করে, কিন্তু পরিস্থিতি আরও ঘনিভূত হতে থাকে—যুদ্ধ এখন কেবল সময়ের নয়, বিশ্বাসেরও।
এপিসোড ৪ মুক্তির মঞ্চে দাঁড়ানো – ফারহানের প্রথম সিদ্ধান্ত
ফারহান জানে, পালানো মানে হেরে যাওয়া। এই সময়ের মানুষদের সে যতটা ভয় পায়, তার চেয়েও বেশি ভয় পায় ভবিষ্যৎের ইতিহাসে হারিয়ে যাওয়াকে।
শিউলি রাতে এসে বলল,
“তুমি পালিয়ে গেলে, আমি আর তোমার জন্য কিছু করতে পারবো না।”
ফারহান তাকিয়ে বলল,
“তুমি বিশ্বাস করো?”
“বিশ্বাস করি। কিন্তু বিশ্বাস একা দাঁড়ায় না—তাতে লড়াই লাগে।”

সময়ের বিরুদ্ধে তথ্যের যুদ্ধ
ফারহান কয়েকজন তরুণ যোদ্ধার সামনে একটি ছোট সভা ডাকে। সে বলে—
“তোমরা যুদ্ধ করছো। কিন্তু আমি জানি কাদের বিরুদ্ধে, কোথা থেকে, আর শেষ কী হবে।”
তরুণদের মাঝে হাসির রোল ওঠে।
“তুমি ভবিষ্যৎ থেকে এসেছো, প্রমাণ কই?”
সে তার পকেট থেকে বের করলো একটি চিপ—সুদূর ভবিষ্যতের সিলিকন ডেটা ইউনিট। কারো চোখে এমন কিছু কখনও পড়েনি।
সংকেতের বার্তা
রেডিওটি অবশেষে কাজ করছে। হঠাৎ সেটি থেকে ভেসে এলো এক গলাঃ
“Calling… Sector E… Repeat… Are you operational?”
চারপাশ স্তব্ধ। শিউলি ধীরে বলে,
“এটা কারা? তোমার মতো কেউ?”
ফারহানের চোখে ফিরে আসে জ্বলন্ত আশার আলো।
“হয়তো… আমার ফেরার রাস্তা তৈরি হচ্ছে।”
কিন্তু সেই মুহূর্তেই রেডিও নষ্ট হয়ে যায়। আর তখনই দূরে ভেসে আসে গোলাগুলির শব্দ। সময় ফুরাচ্ছে।

পরবর্তী পর্বে কী হবে… (এপিসোড ৫)
রেডিওর অজানা সংকেত জানিয়ে দেয়—ফারহান একা নয়।
কিন্তু সেই সংকেতই টেনে আনবে অজানা শত্রুদের।
গ্রামজুড়ে শুরু হবে তাণ্ডব।
ফারহানকে রক্ষা করার জন্য শিউলিকে নিতে হবে ভয়ংকর এক সিদ্ধান্ত—
কাউকে বিশ্বাস করে তার পুরো গ্রামকে বিপদে ফেলে দেবে সে?
নাকি… সময়ের নিয়ম বদলাবে?