06/06/2025
পরিচিতি ও মিশন । ভবিষ্যতের চোর পর্ব ১
সময় চুরির কাহিনি

পরিচিতি ও মিশন । ভবিষ্যতের চোর পর্ব ১

Jun 2, 2025

গল্পের নাম : ভবিষ্যতের চোর
এপিসোড  : পরিচিতি ও মিশন

ধরন : বাংলা সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার ।

পরিচিতি ও মিশন – ভবিষ্যতের চোর – পর্ব ১

পরিচিতি: “দ্য ক্রোনো শেডো”

কল্পনা করুন এক অদ্ভুত গুদামঘর, শহরের বাইরের এক পরিত্যক্ত ফ্যাক্টরিতে। তার ভেতরে একটি ছায়াময় অপারেশন রুম, যার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে এক উজ্জ্বল গোলক—”ক্রোনো হারনেস”, সময়ভ্রমণের মূল প্রযুক্তি।

এটাই “দ্য ক্রোনো শেডো” গ্যাং-এর আস্তানা।

দলের সদস্য পরিচিতি:

1. রেজা (লিডার)

সাবেক এআই রিসার্চার, যার এক্সপেরিমেন্ট ফিউচার থেকে সংকেত পাওয়ার পথ খুলে দেয়। চুপচাপ, গম্ভীর, কিন্তু অদ্ভুতভাবে বুদ্ধিমান।
“ভবিষ্যতের জিনিস নিয়ে এখনকার দুনিয়ায় রাজা হওয়া যায়”, — ওর প্রিয় ডায়লগ।

2. সায়রা (হ্যাকিং স্পেশালিস্ট)

সাইবার ক্রাইমের দুনিয়ায় কিংবদন্তি।
ভবিষ্যতের কোড ভাঙতে তার জুড়ি নেই। সে প্রতিটি সফটওয়্যার চুরি করে এনেছে রিজেনারেটিভ এআই, থট-কন্ট্রোল চিপস, এমনকি ভবিষ্যতের ক্লোনিং ব্লুপ্রিন্ট!

3. তামিম (ফিল্ড অপারেটর)

এক্স-কমান্ডো। ফিজিক্যাল অপারেশনে ওর বিকল্প নেই। যেখানেই চুরি, সেখানেই তামিম। সময়ের গায়ে দাগ কেটে, মিশন শেষ করে আসে নিঃশব্দে।

মিশনের শুরু: প্রথম চুরি

এই এপিসোডে গ্যাং-এর প্রথম সময়ভ্রমণ ও প্রযুক্তি চুরি ঘটনার বর্ণনা

“টাইম ব্রিজ” প্রযুক্তির সাহায্যে ২১‍৫৮ সালে প্রথম প্রবেশ
রেজা তার নিজস্ব তৈরি টাইম কন্ট্রোল স্যুট পড়ে প্রবেশ করল ২১‍৫৮ সালের “ফিউচার মেট্রোপলিস”-এ।
একটি সুপার সিকিউর ল্যাব—CentaCore Institute—এর ভেতরে গোপনে ঢুকে সে এক জিনিস খুঁজছে:
“Synaptic Core” — এক ধরনের মস্তিষ্কীয় ইন্টারফেস যা চিন্তার মাধ্যমেই যেকোনো ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

সময় চুরির টেনশন:

মিশন চলাকালে হঠাৎ একটি রোবোটিক সেন্সর সিস্টেম গ্যাং-এর উপস্থিতি টের পায়।
সায়রার দ্রুত হ্যাকিং স্কিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তামিম ভয়ড্রোন দিয়ে পিছু হটতে বাধ্য করে রক্ষীদের।

প্রথম বিক্রি: লোভের দরজা খুলে যায়

রেজা ও দল ফিরে আসে ২০২৫ সালের এক দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদের কাছে।
ভবিষ্যতের প্রযুক্তি তার জন্য মানে অমরত্বের হাতছানি।

“Synaptic Core”-এর জন্য সে অফার করে ৩৭ মিলিয়ন ডলার।
চুক্তি হয়।
প্রযুক্তি ভবিষ্যতের নয়, এখন অতীতের লোভী মানুষের হাতে।

ফলাফল: সময়ের ছন্দে প্রথম ফাটল

চুক্তির পরপরই শহরের এক প্রান্তে ঘটে যায় অদ্ভুত ঘটনা—
একজন মানুষ নিজের স্মার্টফোনের মাধ্যমে একজনকে ‘ভাবনা’ দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে।

এটা কি সেই ‘Synaptic Core’-এর কাজ?

পরবর্তী পর্বে কী হবে… (এপিসোড ২)

এপিসোড ২: বিপদ শুরু

  • ভবিষ্যত প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে তদন্ত শুরু করে গোপন সংস্থা
  • রেজা ও দলের ওপর নেমে আসে নজরদারি
  • সময়ের গহ্বরে এক ছায়াময় অস্তিত্বের আগমন…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *