
মুখোমুখি অপরিচিত আমি | অদ্ভুত ছায়া পর্ব ২
গল্পের নাম: অদ্ভুত ছায়া
এপিসোড ২: মুখোমুখি অপরিচিত আমি
পূর্ববর্তী পর্বের সংক্ষিপ্ত কাহিনী: (Recap of Episode 1):
এক কিশোরের সাধারণ জীবন | অদ্ভুত ছায়া পর্ব ১-এ আমরা দেখি আরিয়ান তার শহরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখে, একই সঙ্গে তার মতো দেখতে দু’জন লোক হেঁটে যাচ্ছে। এরপর, সে একটি রহস্যময় ডায়েরি খুঁজে পায় এবং বুঝতে পারে কিছু অদ্ভুত ঘটনার মধ্যেই সে আটকে গেছে।
মুখোমুখি অপরিচিত আমি | অদ্ভুত ছায়া পর্ব ২ – ছাদে দাঁড়িয়ে নিজের সঙ্গে কথোপকথন
মুখোমুখি এক অজানা আত্মপ্রকাশ
ঢাকার ব্যস্ত শহর। সন্ধ্যার আকাশে মিশে গেছে কুয়াশার মতো মেঘ, রাস্তার আলো গায়ে মেখে ঘরে ফিরছিল আরিয়ান। কিন্তু আজ তার পা থেমে গেল স্কুলের গেট পেরিয়ে ৫ মিনিট না হতেই। সামনের উঁচু বিল্ডিংয়ের ছাদে কেউ দাঁড়িয়ে — আর আশ্চর্যের বিষয়, সে দেখতে ঠিক আরিয়ানের মতোই।

ছাদে ছায়ার সাক্ষাৎ
প্রথমে মনে হয়েছিল ভুল দেখছে। কিন্তু চোখ সরাল না সে। বুকের ভেতরে কাঁপুনি। সাহস করে ছাদে ওঠার পথ খুঁজে নিল। ছাদের দরজা খোলা।
আকাশের নিচে, বাতাসে দাঁড়িয়ে সেই “অপরিচিত আমি”। ধূসর হুডি, পকেটে হাত, চোয়ালে এক অদ্ভুত নিশ্চয়তা।
— “তুই… কে?” আরিয়ান ফিসফিস করে বলে।
— “তুইই,” সেই কণ্ঠটা অদ্ভুত ঠান্ডা, যেন আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব শুনছে।
— “তাহলে… আমি কাকে দেখছি?”
— “যাকে তুই চিনবি, কিন্তু কখনো বুঝবি না।”
দুই আরিয়ানের কথোপকথন
অপরিচিত আরিয়ান জানায়, তার নামও আরিয়ান। তবে এই পৃথিবীর নয়। সে এসেছে এমন এক জগত থেকে, যেখানে সে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি। সেখানে সে প্রযুক্তি দিয়ে মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে। এখানে এসেছে কারণ — এই জগতের আরিয়ানের ভবিষ্যৎ নাকি এক গভীর সিদ্ধান্তের দিকেই এগোচ্ছে।
— “তুই জানিস না, কিন্তু তুই এই জগত পাল্টে দিতে পারিস। আর আমি জানি কখন কীভাবে সেটা ঘটবে।”
আরিয়ান বোঝে, তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটি শুধু তার মতো দেখতে নয় — তার অভিজ্ঞতা, শক্তি ও লক্ষ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন।

অতীতের ইঙ্গিত
ঘরে ফিরে আরিয়ান সেই পুরনো ডায়েরিটা আবার পড়ে। ডায়েরিতে লেখা:
“শুধু সময় নয়, সিদ্ধান্তও ছায়া ফেলে — যেখানেই তুমি দাঁড়াও, পেছনে কেউ হাঁটে।”
তার ঠাকুরদা কি জানতেন এই কথা? নাকি… তিনিও কোনো একসময় এইসবের মুখোমুখি হয়েছিলেন?
পরবর্তী পর্বে কী হবে… (এপিসোড ৩)
“নিয়ন্ত্রণের খেলা | অদ্ভুত ছায়া পর্ব ৩”
অপরিচিত আরিয়ান জানিয়ে দেয়, সে এখানেই থাকবে — কারণ সে বিশ্বাস করে, এই পৃথিবীর আরিয়ানকে “ঘুমন্ত” অবস্থা থেকে জাগানো দরকার। কিন্তু তার নিয়ন্ত্রণের পথ কি নৈতিক? না কি এই ছায়া নিজের অন্ধকার লুকিয়ে রেখেছে?