অজানা গ্রামে প্রথম রাতের আতঙ্ক | সময়ের সীমানা পর্ব ৫

গল্পের নাম : সময়ের সীমানা।
এপিসোড ৫ : অজানা গ্রামে প্রথম রাতের আতঙ্ক।
ধরন : বাংলা সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার ।

পূর্ববর্তী পর্বের সংক্ষিপ্ত কাহিনী (Recap of Episode 4):

ব্রিটিশ শিবিরে বন্দি ফারহান টাইম মেশিন লুকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়। কমান্ডার ডানহ্যামের সন্দেহ তীব্রতর হয়। রাতের অন্ধকারে পালানোর সুযোগ নিয়ে ফারহান গভীর জঙ্গলে আশ্রয় নেয়, কিন্তু পেছনে সৈন্যদের আলো ও শব্দ যেন সময়কে গ্রাস করে। পালিয়ে বাঁচলেও, সে এখন পুরোপুরি একা।

জঙ্গলের নিঃসঙ্গ ধ্বনি

রাত গভীর।
ফারহান ছেঁড়া জামা ও কাদা মাখা প্যান্টে ক্লান্ত শরীর নিয়ে এক প্রাচীন বটগাছের নিচে বসে পড়ে। জঙ্গলের মাঝে অদ্ভুত নিস্তব্ধতা, শুধু শোনা যায় দূর থেকে পেঁচার ডাক আর ঘাসে দৌঁড়ানো ছোট প্রাণীর শব্দ।

“এটা কী সত্যিই ১৯২৫ সাল? আমি কি আর কখনও ফিরতে পারব?”
তার টাইম মেশিনটি আর সক্রিয় নয়, ভেতরে ধোঁয়া উঠছে। সে বুঝে গেছে—এখন তার বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা মানুষ।

অজানা সহযাত্রী

হঠাৎ ফারহান অনুভব করে কেউ তার পাশে বসেছে। ভয় পেয়ে সে পেছনে তাকায়—
এক কিশোর, বয়স আনুমানিক ১৫, চোখে বুদ্ধির ঝলক।

“তুমি কি মীরগঞ্জের দিকে যাচ্ছো?”
ছেলেটি বলল, যেন ফারহান এখানকার কেউ।
ফারহান কাঁপা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,
“তুমি কে?”

“আমার নাম রকিব। আমি পালিয়ে এসেছি। ব্রিটিশরা আমার বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে।”

ফারহান তার দিকে তাকিয়ে বলে,
“আমিও পালাচ্ছি… কিন্তু কোথায় যাব জানি না।”

রকিব তখন বলে,
“তাহলে আমাদের পথ এক। আমি মীরগঞ্জের বাউলদের চিনি। তারা অনেক কিছু লুকিয়ে রাখে—মানুষও, রহস্যও।”

বাউলদের গোপন ঠিকানা

পরদিন সকাল।
রকিব ও ফারহান দড়ির মতো পেঁচানো গাছের ফাঁক গলে এক পাহাড়ি ঝরনার ধারে পৌঁছায়। সেখানে এক কাঠের ঘরে বসে একজন সাদা চুলের বাউল। মুখে দাড়ি, চোখে অপার শান্তি।

“তুমি সময় থেকে ভুলে আসা মানুষ…”
বাউল বলল, ফারহানের মুখ না দেখেই।

“তুমি জানো?” ফারহান অবাক।

বাউল উত্তর দিল,
“সময়ের ব্যথা, সময়ই বোঝে। কিন্তু তোমার ফিরে যাওয়ার পথ… এভাবে খুঁজে পাবে না।”

সুতোর মতো রহস্য

বাউল ফারহানকে দেয় একটি ছাপা চিঠি—
বহু পুরনো, ইংরেজিতে লেখা।
তাতে লেখা:
“The one who travels through time must awaken the gatekeeper of the East. Look for the Eye beneath the ruins.”

ফারহান কিছুই বোঝে না।
কিন্তু বাউলের চোখে ছিল এমন ইঙ্গিত, যেন তার সময় এখন শুরু হতে চলেছে।

পরবর্তী পর্বে কী হবে?

“ফারহান ও রকিব বেরিয়ে পড়ে মীরগঞ্জের ধ্বংসস্তূপের খোঁজে। কিন্তু সেখানে কি কেবল ধ্বংস? নাকি এক ‘প্রহরী’ অপেক্ষা করছে—যার ঘুম ভাঙালে পাল্টে যাবে ইতিহাসের গতিপথ?”

পর্ব ৫ সমাপ্ত, কিন্তু সময়ের গল্প চলছে…

চলতে থাকুন, কারণ সময় কারও জন্য থেমে থাকে না।