
পতন । এক মহাকাশযাত্রীর ফিরে দেখা পর্ব ২
গল্পের নাম : এক মহাকাশযাত্রীর ফিরে দেখা।
এপিসোড ২ : পতন ।
ধরন : বাংলা সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার ।
পূর্ববর্তী পর্বের সংক্ষিপ্ত কাহিনী: (Recap of Episode 1):
মহাকাশচারী রাহুল একটি গবেষণামূলক অভিযানে গিয়ে টাইম রিফটে পড়ে যায়। সে ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরে পেয়ে আবিষ্কার করে, সে এখন এক সম্পূর্ণ অপরিচিত পৃথিবীতে — ৫০০ বছর আগের অতীতে।
পতন – এক মহাকাশযাত্রীর ফিরে দেখা – পর্ব ২
পৃথিবীতে আবার ফিরে আসা, কিন্তু সময়ের গহীনে
রাহুল কাঁপতে কাঁপতে উঠে দাঁড়ায়। পায়ের নিচে কাদা, মাথার উপর রৌদ্রের কড়া আভা। তার স্পেসস্যুটে আঁচড়ের দাগ, ভেন্টিলেশন অচল।
চারদিকে শোনা যাচ্ছে গরু-মোষের ডাক, দূরে একজন বয়স্ক মানুষ ছুটে গিয়ে বলছে,
“আল্লাহর কসম, ও তো আকাশ থেকে পড়ল!”
আর একজন বলে,
“জ্বীন না মানুষ বুঝি? জামাকাপড় কেমন উজ্জ্বল!”

ভয়ের চোখে তাকিয়ে থাকা মানুষ আর রাহুলের প্রথম ধাক্কা
এক শিশু কান্না শুরু করল, একজন তরুণ দা হাতে এগিয়ে এল।
রাহুল দুই হাত তুলে শান্তভাবে বলল, “Please… I’m not dangerous.”
কিন্তু ভাষার তফাত তখনই বোঝা গেল। তার কথা কেউ বোঝে না।
অজানা ভাষা, অজানা মানুষ, অজানা সময়।
তারপর, একজন মাঝবয়সী লোক বলল,
“তোর মুখে খোদার নাম নাই… তবে শয়তানও লাগতেছে না। তোকে নিব বাড়িতে।”
অচেনা এক গ্রামে প্রবেশ
রাহুলকে নিয়ে যাওয়া হয় মাটির ঘরে তৈরি একটি প্রাচীন গ্রামে — নাম “হালতিপুর”।
গ্রামের লোকজন মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। কেউ ভয় পায়, কেউ কৌতূহলী, কেউ বলে জ্বীন।
রাহুল মাথার ভেতরে শব্দ শুনতে পায়:
“Suit oxygen: 3% remaining.”
সে মাথা ঝাঁকায়। তাকে স্পেসস্যুট খুলতেই হবে।
কিন্তু তখন?
মহাকাশের পোশাক খুলে ফেলা — নতুন জীবনের শুরু
রাহুল আস্তে আস্তে নিজের হেলমেট খুলল।
তার মুখ দেখে সকলে অবাক হয়ে চুপ।
“মানুষই তো! তবে কাপড়চোপড় বড় অদ্ভুত।”
তারপর সেই মাঝবয়সী লোক— নাম “ফিরোজ”—বলে,
“তুই দেখছি দূরদেশি। কথা কইতে পারিস না ঠিকমতো। কিন্তু মন খারাপ করিস না, খোদার ঘরে জায়গা সবার আছে।”

রাহুলের উপলব্ধি: কোথায় এসেছি আমি?
রাতে সে একাকী পড়ে রইল কুঁড়েঘরের চাটাইয়ে। বাইরে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।
সে মনে মনে ভাবল:
“Earth… but this isn’t my Earth.
Is it the 1500s? Or earlier?”
তার হাতে থাকা ভাঙা ট্র্যাকার বলছে:
“Temporal signature mismatch: 502 years.”
পাঁচ শতাব্দী পেছনে ফিরে আসা
তার বুকের মধ্যে ভারী শ্বাস, চোখে জল।
সে জানে, সে ফিরে যেতে পারবে না… আপাতত নয়।
পরবর্তী পর্বে কী হবে… (এপিসোড ৩)
পর্ব ৩: “ধাঁধা” – রাহুল বুঝতে পারছে সে কোন কালে আছে। কিন্তু ভাষা, সমাজ, বিশ্বাস ও মানবিক আচরণের ভিন্নতা তাকে মানসিক চাপে ফেলছে। কীভাবে সে নিজের পরিচয় প্রকাশ করবে?