প্রস্থান । এক মহাকাশযাত্রীর ফিরে দেখা পর্ব ১

গল্পের নাম : এক মহাকাশযাত্রীর ফিরে দেখা।
এপিসোড ১ : প্রস্থান।
ধরন : বাংলা সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার ।

প্রস্থান । এক মহাকাশযাত্রীর ফিরে দেখা পর্ব ১

রাহুলের মহাকাশ অভিযানের শুরুর দিন

২১শ শতকের শেষ দশক। পৃথিবী তখন প্রযুক্তির শিখরে। রাহুল সেন, একজন প্রশিক্ষিত মহাকাশচারী, “Project Jantra” নামক এক গোপন মহাকাশ অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। উদ্দেশ্য — একটি অজানা গ্যালাক্সির গভীরে পাওয়া একটি স্ট্যাবল ওয়ার্মহোল (Time Rift) পর্যবেক্ষণ করা।

আমরা জানি না কী আছে ওই রিফটের ওপারে।

ড. রিনা বসু, মিশনের প্রধান বিজ্ঞানী, এক চেম্বারে বসে বললেন।
“তবে আমরা জানি, একে স্পর্শ করলে সময় বিকৃত হয়। রাহুল, তুমি প্রস্তুত তো?”

রাহুল চোখ মেলে তাকালেন। গলায় রেডিও কমিউনিকেশন ইউনিট।
“আমি প্রস্তুত, ম্যাম। Let’s explore time itself.”

উৎক্ষেপণ ও অজানার পথে যাত্রা

তীব্র শব্দে কেঁপে উঠল “আরোরা-৫” স্পেসশিপ। পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে তা প্রবেশ করল একটি নীলচে আলোয় মোড়ানো রিফটের কাছে। সেই রিফট স্থির ছিল, কিন্তু গতি ও দিক পরিবর্তন করছিল প্রতিনিয়ত — সময়ের স্রোতের মতো।

হঠাৎ…

টাইম রিফটের অভ্যন্তরে ধ্বংসযজ্ঞ

একটি উচ্চগ্রামের বিকট শব্দ!
“System malfunction… coordinates lost… gravimetric distortion rising…”

রাহুলের চোখের সামনে সবকিছু ঘুরতে লাগল। স্পেসশিপের কাঠামো বিকৃত হচ্ছে, সময় যেন তরল হয়ে গিয়েছে। আলো ও অন্ধকার একত্রিত হয়ে এক রহস্যময় টানেলের সৃষ্টি করল। হঠাৎ করে এক টান… এক পতন… এবং এক শূন্যতা।

পতন শুরু — সময়ের অতলে হারিয়ে যাওয়া

রাহুল বুঝতে পারলেন না, কত সময় কেটে গেল। তার শরীর নিস্তেজ, চারপাশে ঘন কুয়াশা। তারপর… হঠাৎ সে পড়ে গেল মাটিতে।

চারপাশে পাখির ডাক, খড়খড়ে বাতাস, আর গাছের পাতার মৃদু দুলুনি।
সে ধীরে ধীরে চোখ খুলল।

এটা কোথায়? এটা তো পৃথিবী… কিন্তু কেমন যেন অচেনা।

রাহুল উঠে দাঁড়াল। তার স্পেসস্যুট ধূলিমাখা। দূরে কয়েকজন কৃষক তাকে দেখছে ভীত চোখে। তাদের পরনে শতাব্দী পুরোনো পোশাক। তাদের হাতে মাটি খোঁড়ার যন্ত্র, আর মুখে বিস্ময়।

৫০০ বছর আগের পৃথিবীতে ফিরে আসা

রাহুল ধীরে ধীরে বুঝতে পারলেন—
এই পৃথিবী তার পরিচিত পৃথিবী নয়।

এটি পাঁচশো বছর আগের পৃথিবী।

পরবর্তী পর্বে কী হবে… (এপিসোড ২)

পর্ব ২: “পতন” – রাহুল কীভাবে বুঝবে যে সে কোন সময়ে এসেছে? স্থানীয়রা কী করবে? ভয়, আস্থা নাকি আক্রমণ?