গল্পের নাম : সময়সেনা।
এপিসোড ২ : সংকেতের নেপথ্যে।
ধরন : বাংলা সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার ।

পূর্ববর্তী পর্বের সংক্ষিপ্ত কাহিনী: (Recap of Episode 1):

“সময়ের ছায়া” নামক প্রথম পর্বে আমরা দেখেছি ৩০৯১ সালের “ক্রোনো সাম্রাজ্য” তাদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে অতীতে সৈন্য পাঠানোর পরিকল্পনা করে। বিজ্ঞানী রাভেন একটি বিকৃত সংকেত পান — “Samoysena aschhe”, যা তার সন্দেহ জাগায় যে ইতিহাসে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বা হতে চলেছে। রাভেন বুঝতে পারেন, এই সংকেত কোন সাধারণ যান্ত্রিক বার্তা নয় — এর পেছনে রয়েছে ভবিষ্যৎ বদলানোর এক ভয়ঙ্কর ছায়া।

সংকেতের নেপথ্যে । সময়সেনা – পর্ব ২

রাভেনের অনুসন্ধান শুরু

রাতের নিঃস্তব্ধতা। টোকিও মেট্রোনেট-এর নিচের গবেষণা ঘরে রাভেন বসে আছেন তার হোলো-ডাটাবোর্ডের সামনে। ঘরে একমাত্র আলো এসেছে ফ্লোটিং স্ক্রিনে ভেসে ওঠা কোডের রেখা থেকে। বারবার বাজছে সংকেত:
“Samoysena aschhe…”

রাভেন ফ্রেমে ফ্রেমে সংকেত বিশ্লেষণ করছেন। টাইম-ওয়েভ প্যাটার্ন মিলিয়ে দেখছেন ৩০৭২ সালের একটি প্রটোটাইপ মডেলের সাথে। তিনি ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন — এই সংকেত শুধু ভবিষ্যতের নয়, বরং ভবিষ্যতের কোনো এক পরিবর্তিত শাখা সময় থেকে এসেছে।

“এর মানে কেউ টাইমলাইনে হস্তক্ষেপ করছে… এবং এটা একদম শুরু,” ফিসফিস করে বলেন তিনি।

গোপন ফাইল “Project Akshet”

রাভেন গবেষণা চালাতে গিয়ে একটি নিষিদ্ধ নেটওয়ার্কে প্রবেশ করেন — ChronoVault। সেখানে তিনি আবিষ্কার করেন এক গোপন নথি:
“Project Akshet – Temporal Resistance Initiative”

এটিই ছিল ৩০২৫ সালে একবার শুরু করা হয়েছিল সময় প্রতিরোধের গোপন প্রজেক্ট — যেখানে ভবিষ্যতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে কাজ করত এক গোপন সংগঠন।

নথিতে একটি রহস্যময় নাম:
“Unit KAAL-9”
– একটি বিশেষ বাহিনী যাদের কাজ ছিল টাইম করাপশন ঠেকানো।

রাভেন প্রথমবারের মতো টের পান — তিনি একা নন।

কোডের ছায়া, পরিচয়ের ইঙ্গিত

রাভেন সংকেতের এক নির্দিষ্ট অংশের ডিকোড করতে সক্ষম হন। তাতে তিনি যা দেখতে পান তা হলো একটি টাইম-লোকেশন মার্কার:

“INDIA | Bengal | Year: 2025 | Divergence Probability: 93%”

তার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়।

“তাহলে, প্রথম ধাক্কাটা অতীতেই দেওয়া হচ্ছে,” বলেন রাভেন।

এবং ঠিক তখনই তার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে আরেকটি অজানা বার্তা —

“Aar ambhe ghumochhi na… KAAL jageche.”

রাভেন জানেন, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।

পরবর্তী পর্বে কী হবে… (এপিসোড ৩)

পর্ব ৩: অতীতের বুকে অভিযান
রাভেন তার সূত্র ধরে একটি সিদ্ধান্ত নেন — তাঁকে ২০২৫ সালের ভারতে পাঠাতে হবে, যেখানে প্রথম টাইম শিফট ঘটেছে। কিন্তু কে পাঠাবে তাকে? কীভাবে ভ্রমণ করবেন? আর সেই অতীতেই বা কারা অপেক্ষা করছে?