নিয়ন্ত্রণের খেলা | একটি ডিভাইস, এক ভয়ংকর সত্য | অদ্ভুত ছায়া পর্ব ৩

গল্পের নাম: অদ্ভুত ছায়া
এপিসোড ৩: নিয়ন্ত্রণের খেলা
ধরন : বাংলা সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার

পূর্ববর্তী পর্বের সংক্ষিপ্ত কাহিনী: (Recap of Episode 2)

“মুখোমুখি অপরিচিত আমি | অদ্ভুত ছায়া পর্ব ২”-এ আরিয়ান এক সন্ধ্যায় ছাদে দেখে তারই মতো দেখতে আরেকজন কিশোরকে। সেই অপরিচিত জানায়, সে অন্য এক জগতের আরিয়ান — এমন এক জগত যেখানে সে বিশ্বের শাসক। তারা কথা বলে সময়, নিয়তি ও সিদ্ধান্ত নিয়ে। তার কথায় বোঝা যায়, কিছু একটা ভয়ংকর ঘটতে চলেছে এই জগতে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আমাদের আরিয়ান।

নিয়ন্ত্রণের খেলা | একটি ডিভাইস, এক ভয়ংকর সত্য | অদ্ভুত ছায়া পর্ব ৩

নিয়ন্ত্রণের সূচনা

সকালের আলোয় ঢাকা শহর স্বাভাবিক। কিন্তু আরিয়ানের ভেতর অস্বাভাবিক কিছু একটার কম্পন।
স্কুলে বসেও বারবার সে আগের রাতের কথা ভাবছে। ক্লাস চলাকালীন সে মনে মনে বলে ওঠে:

“আমার মতো কেউ, আমার উপর নজর রাখছে। কিন্তু কেন?”

ঠিক সেই মুহূর্তে তার মোবাইলে আসে একটি অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ:
“তোর বন্ধুরা কে? কারা তোর উপর প্রভাব রাখে?”
সাথে একটি ভিডিও ক্লিপ — তাতে দেখা যাচ্ছে, তার বন্ধু সিয়ামকে কেউ অনুসরণ করছে।

সিদ্ধান্তে বাঁধা এক খেলা

বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে অপরিচিত আরিয়ান আবার দেখা দেয়। এইবার তার হাতে একটি ডিভাইস — দেখতে স্মার্টওয়াচের মতো, কিন্তু ঘড়ির বদলে ঘূর্ণায়মান এক প্যাটার্ন।

— “এটা দিয়েই নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছিলাম আমি। লোক, তথ্য, সিদ্ধান্ত — সবই নিয়ন্ত্রণযোগ্য।”
— “তুই কী বলতে চাস?” আরিয়ান বিস্মিত।
— “তোর জগতে কিছু লোক আছে, যারা ভবিষ্যতের পথ বদলাবে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু তুই বুঝবি না কারা তারা — তুই সিদ্ধান্ত নিলেই আমি দেখব কে রিঅ্যাক্ট করে।”

আরিয়ান প্রশ্ন করে, “তুই কী আমাকে ব্যবহার করছিস?”
ও বলল, “না, আমি তোকে তৈরির পথে ঠেলে দিচ্ছি।”

ডিভাইসের ক্ষমতা

পরদিন রাতে ডিভাইসটি আরিয়ানকে হাতে দেয় অপরিচিত।
একটি এলগরিদম কাজ করে — কার মুখে কী অভিব্যক্তি হয়, কে কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় তা বিশ্লেষণ করে।
কিন্তু এর মধ্যে একটি ভয়ঙ্কর ফিচার — “emotional override”, অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির মস্তিষ্কে ক্ষণিকের জন্য ইমোশনাল ইমপালস পাঠানো।
আরিয়ান বুঝে যায়, এই জিনিস দিয়ে শুধু পর্যবেক্ষণ নয়, প্রভাবও ফেলা যায়।

সে ভাবে —
“আমি কি আমার মতো হয়ে থাকব, নাকি তার মতো হয়ে যাব?”

ছায়া আরও গভীর হয়

স্কুলের ক্যানটিনে সে পরীক্ষামূলকভাবে ডিভাইসটি চালায়। বন্ধুরা হাসছে, গল্প করছে। হঠাৎ সে এক সেকেন্ডের জন্য “override” চালু করে দেয় সিয়ামের দিকে।

সিয়াম থমকে যায়। তার চোখের ভাষা বদলে যায়।
সে ফিসফিস করে বলে:
“আমরা নজরবন্দি… তারা আসছে।”

আরিয়ান থমকে যায়।
সে ভাবে, “এত দ্রুত সে বুঝে গেল? এটা তো… বিপদ।”

পরবর্তী পর্বে কী হবে… (এপিসোড ৪)

ছায়ার নিচে যারা | অদ্ভুত ছায়া পর্ব ৪

আরিয়ান জানতে পারে, শুধু অপরিচিত আরিয়ানই নয়, আরও কিছু মানুষ এই ছায়ার খেলার মধ্যে জড়িত — তারা ছায়ার নিচে বসবাস করে, সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে আছে। কে বন্ধু, কে শত্রু — আরিয়ান আর নিশ্চিত না। ছায়া কি শুধু একজন নয়?